Posts

Showing posts from April, 2017
"সুন্দরী, তুমি আমার গরুর ভুনা ... তুমি আমার খাসীর রেজালা !! আর ঐ যে বদখত রকমের ছেলেটা, যে তোমার প্রেমিক... সে একটা আস্ত গোল মরিচ !! গরুর ভূনা আর খাসীর রেজালা'র মাঝে গোল মরিচ এর উপস্থিতি বড্ড অস্বস্তি দেয় ... বড্ড যন্ত্রণা দেয় !!"
একটা ছোট্টো গল্প বলি। সময়টা এসএসসি'র ইকটু পরে সবাই যখন পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে ব্যস্ত তখন আমি এসএসসি'র সব বই বার বার করে মুখস্ত করছি কারেন্ট এফেয়ার্স এর মাসিক বইগুলো মুখস্ত করাই ব্যস্ত। কারণ নটের ডেম কলেজ। এই সব করতে করতে পরীক্ষার ফলাফল দিলো আশা অনুযায়ী ভালো হলো না তবুও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়ে জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি । এই বিষয়ে বাসায় কেউকিচ্ছু জানে না। মায়ের মন তো মায়ের মন সে ঠিকই টের পেয়ে গেলো। আমি ঢাকার কোনো কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার বুঝতে বাকি থাকলো না আমি ঢাকায় চলে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। মায়ের বেকুল মন আরও বেকুল হয়ে উঠলো। মা ডাইবেটিক পেসেন্ট দিনে দুইবার ইনসুলিন নিতে হয়। সূর্য একদিন না উঠে থাকতে পারে  কিন্তু আমার ইনসুলিন ছাড়া থাকতে পারে না। মিস করলেই তার যায় যায় অবস্থা হয়। পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে আমার মানিব্যাগ হারিয়ে গেলো মানিব্যাগ হারিয়ে আমি অথোই জলে পড়লাম সেখানে আমার ব্যাংক এর কার্ড কিছুদিন আগে ব্যাংক বের করা কিছু নগদ টাকা আর তার থেকে বড় কথা আমার বাসের টিকিট ছিলো। দিনযতো আগাতে থাকলে মা ততোই নিস্বপ্রাণ হতে থাকলো। আম...
আমি বরাবরই একজন রাবীন্দ্রিক প্রেমিকা চেয়েছিলাম— দুঃসহ দুঃসময়েও যে গাইতে পারে; লিখতে না পারুক, অন্তত লেখাতে পারে; নাচতে না পারুক, অন্তত নাচাতে পারে! পরনে ধানি-রঙা শাড়ি, হাতে হলদে সবুজ চুড়ি, কেশদানিতে বেনামি ফুল, কর্ণলতিকায় কাঠগোলাপ পরে চোখাচোখি দাঁড়িয়ে নাকফুলের বেড়াজাল ডিঙিয়ে কাব্যিক কমান্ডারের ঢঙে যে হুকুম করতে পারে— কী লিখেছ আমায় নিয়ে, তোমায় নিয়ে, আমাদের নিয়ে? সমর্পণ করো! আর আমি? নকশাদার সফেদ পাঞ্জাবির ভেতর থেকে দুই হাত উপরে তুলতে-তুলতে ফুল ও চুলের ঝলকানিতে দুই চোখ ক্রমশ বন্ধ করতে-করতে পরিপূর্ণ বেসামরিক ভঙ্গিতে আমি বলতাম— এই নাও সাবালিকা, আপাদমস্তক আমিই আজ আত্মসমর্পণ করলাম!