একটা ছোট্টো গল্প বলি।
সময়টা এসএসসি'র ইকটু পরে সবাই যখন পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে ব্যস্ত তখন আমি এসএসসি'র সব বই বার বার করে মুখস্ত করছি কারেন্ট এফেয়ার্স এর মাসিক বইগুলো মুখস্ত করাই ব্যস্ত। কারণ নটের ডেম কলেজ। এই সব করতে করতে পরীক্ষার ফলাফল দিলো আশা অনুযায়ী ভালো হলো না তবুও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়ে জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি ।
এই বিষয়ে বাসায় কেউকিচ্ছু জানে না। মায়ের মন তো মায়ের মন সে ঠিকই টের পেয়ে গেলো। আমি ঢাকার কোনো কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার বুঝতে বাকি থাকলো না আমি ঢাকায় চলে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। মায়ের বেকুল মন আরও বেকুল হয়ে উঠলো।
মা ডাইবেটিক পেসেন্ট দিনে দুইবার ইনসুলিন নিতে হয়। সূর্য একদিন না উঠে থাকতে পারে কিন্তু আমার ইনসুলিন ছাড়া থাকতে পারে না। মিস করলেই তার যায় যায় অবস্থা হয়। পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে আমার মানিব্যাগ হারিয়ে গেলো মানিব্যাগ হারিয়ে আমি অথোই জলে পড়লাম সেখানে আমার ব্যাংক এর কার্ড কিছুদিন আগে ব্যাংক বের করা কিছু নগদ টাকা আর তার থেকে বড় কথা আমার বাসের টিকিট ছিলো। দিনযতো আগাতে থাকলে মা ততোই নিস্বপ্রাণ হতে থাকলো। আম্মুর দিকে তাকানো যেতো না । মনে মনে ঠিক করলাম পরীক্ষার ঠিক আগেরদিন কাউকে কিছু না বলে বাই এয়ারে ঢাকায় চলে যাবো। বাই এয়ারে টিকিট কেটে আমি প্রস্তুস। ঢাকা পোওছাতেই ভাইকে বলবো আব্বু আম্মুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিতে। ঢাকায় একবার চলে এলে চিন্তার কিচ্ছু নেই কারো কিচ্ছু করার থাকবে না। পরীক্ষার ঠিক আগেরদিন রাতে আম্মু মারাত্বক ভাবে অসুস্ত হয়ে পড়লো। কারণ বিগতো দুইদিন ধরে সে ইনসুলিন নেয়নি। একদিকে আমার সপ্ন অন্যদিকে মা। সব সপ্ন মাটি চাপা দিয়ে আম্মুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ইনসুলিন করে দিলাম। আমার মায়ের মতে আমি খুব ড্রামাটিক আরা সেখানে আমার মা বলে কথা।
আজ সেই মায়ের জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন মা।
তোমার জন্য আমি বিশ্বছাড়তে পারি কিন্তু বিশ্ব কি আমায় ছাড়বে তোমার জন্য???
সময়টা এসএসসি'র ইকটু পরে সবাই যখন পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে ব্যস্ত তখন আমি এসএসসি'র সব বই বার বার করে মুখস্ত করছি কারেন্ট এফেয়ার্স এর মাসিক বইগুলো মুখস্ত করাই ব্যস্ত। কারণ নটের ডেম কলেজ। এই সব করতে করতে পরীক্ষার ফলাফল দিলো আশা অনুযায়ী ভালো হলো না তবুও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়ে জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি ।
এই বিষয়ে বাসায় কেউকিচ্ছু জানে না। মায়ের মন তো মায়ের মন সে ঠিকই টের পেয়ে গেলো। আমি ঢাকার কোনো কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার বুঝতে বাকি থাকলো না আমি ঢাকায় চলে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। মায়ের বেকুল মন আরও বেকুল হয়ে উঠলো।
মা ডাইবেটিক পেসেন্ট দিনে দুইবার ইনসুলিন নিতে হয়। সূর্য একদিন না উঠে থাকতে পারে কিন্তু আমার ইনসুলিন ছাড়া থাকতে পারে না। মিস করলেই তার যায় যায় অবস্থা হয়। পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে আমার মানিব্যাগ হারিয়ে গেলো মানিব্যাগ হারিয়ে আমি অথোই জলে পড়লাম সেখানে আমার ব্যাংক এর কার্ড কিছুদিন আগে ব্যাংক বের করা কিছু নগদ টাকা আর তার থেকে বড় কথা আমার বাসের টিকিট ছিলো। দিনযতো আগাতে থাকলে মা ততোই নিস্বপ্রাণ হতে থাকলো। আম্মুর দিকে তাকানো যেতো না । মনে মনে ঠিক করলাম পরীক্ষার ঠিক আগেরদিন কাউকে কিছু না বলে বাই এয়ারে ঢাকায় চলে যাবো। বাই এয়ারে টিকিট কেটে আমি প্রস্তুস। ঢাকা পোওছাতেই ভাইকে বলবো আব্বু আম্মুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিতে। ঢাকায় একবার চলে এলে চিন্তার কিচ্ছু নেই কারো কিচ্ছু করার থাকবে না। পরীক্ষার ঠিক আগেরদিন রাতে আম্মু মারাত্বক ভাবে অসুস্ত হয়ে পড়লো। কারণ বিগতো দুইদিন ধরে সে ইনসুলিন নেয়নি। একদিকে আমার সপ্ন অন্যদিকে মা। সব সপ্ন মাটি চাপা দিয়ে আম্মুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ইনসুলিন করে দিলাম। আমার মায়ের মতে আমি খুব ড্রামাটিক আরা সেখানে আমার মা বলে কথা।
আজ সেই মায়ের জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন মা।
তোমার জন্য আমি বিশ্বছাড়তে পারি কিন্তু বিশ্ব কি আমায় ছাড়বে তোমার জন্য???
Comments
Post a Comment