Posts

Showing posts from February, 2018

শুভ জন্মদিন মৌ আপু !

আমার মুখের হাসি নাকি রুই মাছের মতো !! আমার আম্মু বলে আমার মুখের হাসি দেখলে নাকি তার বুকটা ভরে যায়, বন্ধুরা বলে বদমাইশ বদমাইশ লাগে আর সুন্দরী মেয়ে বন্ধুরা বলে, " বিরক্তকর " !! ঘটনা ১ একটা চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় পরিচিত এক আঙ্কেল এসে হাজির। আমি তাকে দেখা মাত্রই চমৎকার একটা হাসি দিলাম, সে সঙ্গে সঙ্গে মাথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে হাটা শুরু করলো। আমি দৌড়ে গিয়ে পেছন থেকে তাকে ডাকলাম, বললাম- - আঙ্কেল কি হলো, কোথায় যাচ্ছেন ? চা খাবেন না ? - না বাবা !! - ক্যনো ?? আপনি কি রাগ আমার উপর ?? - আরে না বাবা, আমি যাই। - আমি লক্ষ্য করেছি আমাকে আপনি একেবারেই সহ্য করতে পারেন না, কারনটা কি ?? আমার হাসি কি আপনার ভালো লাগেনা ?? - তোমার হাসি দেখলে আমার ভয় লাগে বাবা !! - কারনটা কি আঙ্কেল ?? - তোমার এই হাসি দিয়েই তুমি আমার যত্নে গড়া ফুলের বাগানের সব ফুল চুরি করছো, চুরি করছো সেটাও সমস্যা না বেশী কষ্ট পাইছি আমার দামী দামী গাছের চারাগুলা পারায় পুরায় নষ্ট করছো !! - মানে, ইয়ে আর কি, আঙ্কেল তখন তো ছোট ছিলাম বুঝি নাই !! - ও তুমি তখন ছোট ছিলে আচ্ছা বড় হওয়ার পর কি করেছ সেটাও কি তোমাকে বলতে হবে ?? - ওরে খো...

জমজ জন্মদিন!

আমার গাধামির ভুরি ভুরি উদাহরন আছে..স্কুল লাইফের প্রায় পুরোটাই এমন গাধামিতে ভরা..আর এই জন্য আমার কানদুটো স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়.. ছোট ক্লাসে একবার পরীক্ষায় রচনা এলো "সবুজ পৃথিবী"..আমি একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে লিখে ফেললাম রচনা.. কয়েকদিন পর টিচার এল খাতা দিতে..একে একে সবার খাতা দিয়ে দিলেন...সব শেষে এলো আমার পালা..স্যার আমার খাতা হাতে নিয়ে আমাকে তার পাশে দাড়া করিয়ে "সবুজ পৃথিবী" র উল্লেখ যোগ্য অংশ পড়ে শোনাতে লাগলেন.. "আমাদের পৃথিবীকে সবুজ পৃথিবী বলা হয় কারন, -পৃথিবীর আকার হল সবুজ আপেলের মত গোলাকার.. -পৃথিবীতে লাল শাক আর বেগুন ছাড়া আর বাকী সব তরকারি সবুজ.. -পৃথিবীতে তিন রকমের সবুজ পাওয়া যায়, যেমন হালকা সবুজ, নরমাল সবুজ আর গাড় সবুজ.. -আমরা সবুজ ভালবাসি তাই বাবা মায়েরা ছেলেদের নাম সবুজ রাখে.." সারা ক্লাসের পোলাপাইন তখন হা হা হো হো হি হি করে হাসতে হাসতে একে অন্যের উপর গড়িয়ে পরছে..আর স্যারের হাত আমার ডান কান ধরে টানা টানি করছে.. পুরাই বেইজ্জতি অবস্থা..ফ্রী তে স্যার আমার কান ম্যাসাজ করেই যাচ্ছেন তো করেই যাচ্ছেন.. আমার স্মৃতি শক্তি মাশাল্লাহ ভাল..আর তাই তো ব্যাংকে যখন...

আবার এসো !

এমন করে হাসলে কেন, মারলে কেন আমায়? উসকে দিলে এমন করে সাধ্য বা কার থামায়! ক্ষতর মাঝে হচ্ছে ক্ষরণ, ক্ষেপছে ভীষণ ক্ষ; আবার এসে আবার হেসে উসকে আবার দিয়ো। হাসব আবার, ফাঁসব আবার তোমার ফাঁসির ফাঁসে; এখন বুঝি, উসকানিরা কেমন করে আসে! এখন আমার দিন কাটে না কিসের যেন ভয়ে; আবার এলে আমায় খুঁজো তিনটে রঙিন ছয়ে।

দেবদাসের জন্য দোয়া।

ঘুমানোর আগে আমি একটু কান্নাকাটি করতে পছন্দ করি। আজ কান্নাকাটি করার জন্য দেবদাসকে বেছে নিলাম। দেবদাসের শেষ লাইনগুলো::: এখন এতদিনে পার্বতীর কি হইয়াছে, কেমন আছে জানি না। সংবাদ লইতেও ইচ্ছা করে না। শুধু দেবদাসের জন্য বড় কষ্ট হয়। তোমরা যে-কেহ এ কাহিনী পড়িবে, হয়ত আমারই মতো দুঃখ পাইবে। তবু যদি কখনো দেবদাসের মতো এমন হতভাগ্য, অসংযমী পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে, তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও। প্রার্থনা করিও, আর যাহাই হোক, যেন তাহার মতো এমন করিয়া কাহারও মৃত্যু না ঘটে। মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে—যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে। ..... দেবদাসের জন্য দোয়া।

দুঃখ করো না, বাঁচো !

মনে-মগজে ধরেছে তোমার শত জনমের জঙ, ভুলে কি গেছ কাঠগোলাপের কত শত হয় রঙ? কাঠগোলাপের কাঠগড়াতে আবার দাঁড়াবে, এসো; মুখোশ খুলে মুখটি তুলে একটু নাহয় হেসো। হাসলে তুমি হাসবে শহর, কোষ্ঠকঠিন কাচও; জানো না, মেয়ে? গুন দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো! দুখিনী নাকি দুখবিলাসী— নিজেকে নিজেই শুধাও; চায়ের কাপের এক চুমুকে দুঃখ হবে উধাও। উড়ে-আসা কিছু জুড়ে-বসা মেঘে নিজেকে কেন মাখাও? বোসো, বালিকা, কবির পাশে; একটি বিকেল চা খাও! তোমার চুমুর অপেক্ষাতে চায়ের কাপের আঁচও; জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো! বৃষ্টি চেনো? জোছনা চেনো? সমুদ্দুরের বাড়ি? নীল নীলিমার জলকে যাব, দুঃখকে দাও আড়ি। দিগবালিকা, দিগ্বলয়ের দিগন্তকে ছুঁয়ে; হৃদমাঝারের হৃদয় থেকে দুঃখকে নাও ধুয়ে। শঙ্কা কিসের, সাবালিকা? আদিম নাচন নাচো! জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো! জীবন যখন বেঘোরে হারে, কবিতা তখন জেতে; কবিতা পড়ো, কবিতা পরো, কবিতা থাকো খেতে। কবিতা তোমার প্যারাসিটামল, দুঃখ নেবে শুষে; কী হবে এই একজনমে দুঃখদানব পুষে? কবিটা তোমার হাতের নাটাই এবং হাতের পাঁচও; জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো!