দুঃখ করো না, বাঁচো !

মনে-মগজে ধরেছে তোমার শত জনমের জঙ,
ভুলে কি গেছ কাঠগোলাপের কত শত হয় রঙ?
কাঠগোলাপের কাঠগড়াতে আবার দাঁড়াবে, এসো;
মুখোশ খুলে মুখটি তুলে একটু নাহয় হেসো।
হাসলে তুমি হাসবে শহর, কোষ্ঠকঠিন কাচও;
জানো না, মেয়ে? গুন দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো!
দুখিনী নাকি দুখবিলাসী— নিজেকে নিজেই শুধাও;
চায়ের কাপের এক চুমুকে দুঃখ হবে উধাও।
উড়ে-আসা কিছু জুড়ে-বসা মেঘে নিজেকে কেন মাখাও?
বোসো, বালিকা, কবির পাশে; একটি বিকেল চা খাও!
তোমার চুমুর অপেক্ষাতে চায়ের কাপের আঁচও;
জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো!
বৃষ্টি চেনো? জোছনা চেনো? সমুদ্দুরের বাড়ি?
নীল নীলিমার জলকে যাব, দুঃখকে দাও আড়ি।
দিগবালিকা, দিগ্বলয়ের দিগন্তকে ছুঁয়ে;
হৃদমাঝারের হৃদয় থেকে দুঃখকে নাও ধুয়ে।
শঙ্কা কিসের, সাবালিকা? আদিম নাচন নাচো!
জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো!
জীবন যখন বেঘোরে হারে, কবিতা তখন জেতে;
কবিতা পড়ো, কবিতা পরো, কবিতা থাকো খেতে।
কবিতা তোমার প্যারাসিটামল, দুঃখ নেবে শুষে;
কী হবে এই একজনমে দুঃখদানব পুষে?
কবিটা তোমার হাতের নাটাই এবং হাতের পাঁচও;
জানো না, মেয়ে? গুণ দা বলেছে— দুঃখ কোরো না, বাঁচো!

Comments

Popular posts from this blog

এক টুকরো আকাশ !