Posts

Showing posts from 2016
পৃথিবীতে সবাইকে হাসানো যায় না। কিন্তু কিছু মানুষকে হাসানোর জন্য, পৃথিবীর যে কোনো কিছু করা যায়।

মনের অগোছালো কিছু কথা।

তরুণ কবি— কথাটা কল্পনামাত্র অনেকেরই চোখে ভেসে ওঠে এমন এক গঞ্জিকাসেবী ছিঁচকে ছোকরার চেহারা, যে গোত্রহীন গাধাটি উঠতে-বসতে নারীর গলগ্রহ হয়ে থাকবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রার গায়ে মুদ্রিত 'চাহিবামাত্র ইহার বাহককে একশত টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে' বাক্যটির মতো কোনো নারী বলিবামাত্র কবিটিও ঐ নারীকে নিয়ে পদ্য রচনা করতে বাধ্য থাকবে। গত অর্ধযুগে ন্যূনতম অর্ধশত নারীর কাছ থেকে আমি কবিতা লেখার ফরমায়েশ পেয়েছি, যাদের সাথে কোনোকালে আমার দেখা হয়নি। তাদের ধারণা— ছবি দেখেই একজন নারীকে নিয়ে কবিতা লিখে ফেলা সম্ভব এবং কবিরা একদিনে ডজন খানেক কবিতা লিখে ফেলতে পারেন! কবিতা ও কবি নিয়ে যুগ-যুগ ধরে চলমান এমনতর অপধারণা ও কুসংস্কারের অবসান অত্যাবশ্যক। আমি গদ্যকবিতা লিখি না বা লিখতে পারছি না প্রায় চার বছর হলো। এই চার বছরে অন্ত্যমিল-সমৃদ্ধ বেশ কিছু চটুল ছড়া ও কতিপয় প্রেমের ছড়া লিখলেও শত চেষ্টা করেও কোনো গদ্যকবিতা লিখতে পারিনি। রাইটার্স ব্লকের জুতসই বাংলা না থাকলেও একে 'কাব্যিক খরা' বা 'কাব্যিক বন্ধ্যাত্ব' বলা যেতে পারে। আমার প্রত্যেকটি গদ্যকবিতায় কিংবা ছড়ায় একটি করে প্রচ্ছন্ন গল্প থাকে, সুনির্দ...
একজন সন্তান তার পরিবারের কাছ থেকে সবার প্রথমে যে উপহার পায়, সেটি হচ্ছে একটি নাম। একেকটি নামের পেছনে রয়েছে বাবা মায়ের অনেক রাতজাগা গবেষণা, আর নিরলস পরিশ্রম। সব উপহার এক সময় বাসি হয়ে যায়। কিন্তু ''নাম'' এমন এক উপহার, যা প্রতিটি সন্তান আজীবন বয়ে বেড়ায়। তারা জানেও না, কত বড় ভালোবাসা লুকিয়ে আছে প্রতিটি নামের মধ্যে। কিন্তু কি আমাদের জীবন। বড় ভালোবাসার কথা আমাদের কখনো মনে পড়ে না। আমরা অস্থির হই ছোট ছোট ভালোবাসায়।