আমি বরাবরই একজন রাবীন্দ্রিক প্রেমিকা চেয়েছিলাম— দুঃসহ দুঃসময়েও যে গাইতে পারে; লিখতে না পারুক, অন্তত লেখাতে পারে; নাচতে না পারুক, অন্তত নাচাতে পারে! পরনে ধানি-রঙা শাড়ি, হাতে হলদে সবুজ চুড়ি, কেশদানিতে বেনামি ফুল, কর্ণলতিকায় কাঠগোলাপ পরে চোখাচোখি দাঁড়িয়ে নাকফুলের বেড়াজাল ডিঙিয়ে কাব্যিক কমান্ডারের ঢঙে যে হুকুম করতে পারে— কী লিখেছ আমায় নিয়ে, তোমায় নিয়ে, আমাদের নিয়ে? সমর্পণ করো! আর আমি? নকশাদার সফেদ পাঞ্জাবির ভেতর থেকে দুই হাত উপরে তুলতে-তুলতে ফুল ও চুলের ঝলকানিতে দুই চোখ ক্রমশ বন্ধ করতে-করতে পরিপূর্ণ বেসামরিক ভঙ্গিতে আমি বলতাম— এই নাও সাবালিকা, আপাদমস্তক আমিই আজ আত্মসমর্পণ করলাম!
এক টুকরো আকাশ কিনবো তোমার নামে! বিরাট সাইনবোর্ডে লিখা থাকবে 'এখানে পাখিদের ওড়া নিষেধ, ওড়বে না কোন প্রজাপতি কিংবা কিশোরের লাগামহীন ঘুড়িও' অ্যারোপ্লেন নামক দানবও যাতে চাকা না মাড়ায় এদিকটায় মেঘ থাকবে না, গর্জন থাকবে না, কেবল নীল রঙ থাকবে। সূর্যটাকে বানিয়ে দেবো আমার আকাশ গোলাম। কখনও যদি ইচ্ছে হয় তীব্র শীতে দুজন মিলে একটু করে রোদ খাবো। পোষা সূর্য একটুখানি রোদ দিয়ে আবার সরে যাবে। ভীষন খরায় ইচ্ছে হলে মেঘবিহীন বৃষ্টি নামাবো দুজন মিলে! আকাশের এক কোনে ঝুলিয়ে দিবো আঁটসাঁট চাঁদটাকে। তোমার আলোয় চাঁদ জ্বলবে, আমি চাঁদে বসে তোমায় দেখে দেখে কবিতা লিখবো। এক টুকরো আকাশ কিনবো তোমার নামে! আকাশের গায়ে আমার পাইক পেয়াদা তারা থাকবে মিটিমিটি মাঝরাত্তিতে ঘুম ভাঙ্গলে সূর্যকে আদেশ দিবো 'সকাল আনো, আলো ভাঙ্গা আলিঙ্গন দাও' তারপর দু'জন মিলে লিলুয়া বাতাস ধরে হেঁটে যাবো কখনও বা রোদদুপুরে সূর্যটাকে কান ধরে রান নামাবো জোছনা কম দেয়ার অপরাধে চাঁদকে বহিস্কার করে, তোমায় সেঁটে দেবো আকাশে। তারপর আমি পৃথিবীর সকল নিয়ম ভেঙ্গে তোমার চারপাশে ঘুরবো। আকাশে পাখি নেই বলে তুমি আফসোস করবে আমি বলবো 'চলো দুজন মিলে ও...
Comments
Post a Comment