Posts

Showing posts from August, 2018

“উনার ৩ টা কাপড় আছে আমার কাছে”

৬ মাস আগে প্যান্ট বানাতে গেলাম, দর্জি মাপ নিচ্ছে আর আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি দেখলাম দর্জির দোকানে একটা চমৎকার স্যুট ঝুলছে ফেব্রিক আর কাটিং দেখেই দেখেই বুঝা যায় খুব রুচিসম্মত কোন মানুষের স্যুট হবে গতসপ্তাহেও গেলাম দর্জির দোকানে, দেখলাম এখনও সেটা ঝুলছে আমি বললাম “এটা এতদিন থেকে এখানে কেন?’ ‘যে অর্ডার দিসিলো, সে ডেলিভারি নেয় নাই’ “কতো দিন হলো?” ‘২ বছর’ “আপনারা ফোন করেন নাই?” ‘ফোন বন্ধ’ “ঠিকানা নেই?” ‘দর্জির দোকানে কেউ বাসার ঠিকানা দেয় নাকি?’ মনটা কেন জানি খুব খারাপ হয়ে গেলো এখনও প্রায়ই যাই দর্জির দোকানে সেই সুটটা কেউ নিতে এসেছে নাকি জানতে টেইলর মাস্টার আমার প্রতি বিরক্ত, ‘হে যদি আপনার পরিচিত হয় নিয়ে জান প্লীজ সুটটা, বেহুদা উনার ৩ টা স্যুট হেঙ্গারের জায়গা দখল করে আছে’ “উনার ৩ টা স্যুট?” ‘হ্যাঁ’ “কোন ৩ টা?” ‘পাশাপাশি ৩ টা’ আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি স্যুট ৩ টার দিকে... একটা ডিপ এশ, একটা ডার্ক কফি কালারের আরেকটা নেভি ব্লূর মধ্যে ব্ল্যাক স্ট্রাইপ্স। কোনটায় টু বাটন, কোনটায় থ্রি “আমি দর্জিকে বললাম উনার নম্বরটা দিবেন আমাকে? আমি খুঁজে বের করব” সেই নম্বরে আমি প্রতিদিন ফোন করি, মো...

কুত্তা লাগল কেন পিছে !

কোরবানীর দিন কুত্তা লাগল কেন পিছনে ???  কোনো এক সালের ঘটনা .... কোরবানী ঈদের সকালে .... গরু জবাই নিয়ে কোস্তাকোস্তি চলছে .... আমাদের গরু জবাই করার আয়োজন চলছে .... আমি সাদা একটা পান্জাবী পায়জামা পড়ে ভীষন ভাবের সাথে আলগা পন্ডিতি করছি .... রাস্তায় তখন পাঁচ ছয়টা কুকুর ঘুরাঘুরি করছে .... আম্মু সহ আমার সব চাচীরা চাচতো বোনরা বারান্দায় দাড়িয়ে আছে .... হঠাৎ সামনের বাড়ীর পাগলা গরুটা দড়ি ছিড়ে দিল দৌড় .... যাওয়ার পথে গরুটা আমাকে পিঠ বরাবর পেছন থেকে গুঁতা দিল .... ধাক্কাটা খেয়েই কালো রঙ্গের একটা কুকুরের গায়ের উপর যেয়ে পড়লাম .... কুকুরটা অদ্ভুত রকমের একটা শব্দ করে উঠলো .... আমি কোন কিছু না বুঝেই এক দৌড়ে বাসার ভেতর ঢুকে যাই .... কুকুরটা বাড়ীর সামনে দিয়েই ঘুরঘুর করছে .... মনে হচ্ছে কুকুরটা আমার অপেক্ষায় আছে .... ব্যাথা পাইনি ভীষন ভয় পেয়েছি .... আমাদের কোরবানী দেয়া শেষ হলো, আমি বারান্দা দিয়ে দেখলাম ..... মাংস কাটা শেষ হলো, আমি বারান্দা দিয়ে দেখলাম .... রুমের ভেতরে যেয়ে একটা ঘুম দিলাম .... ঘুম থেকে উঠে যখন বারান্দায় এলাম, দেখি কুকুরটা তখনও আমার বাসার গেটের সামনে বসে আছে .... কাউকে কিছু বললাম না .....

ফেরা-০১

আমাদের বাসার সবাই পাগল। আমার বাবা-মা পাগল। দাদা এবং দিদা পাগল। এমনকি আমাদের বাসায় যে কাজের বুয়া কাজ করে তার নাম নয়নের মা। তার মাথায়ও ভীষণ গোলমাল আছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কোন পাগলের কথা দিয়ে গল্প শুরু করব? সবচেয়ে বড় সিনিয়র পাগলের কথাই আগে বলি। তারপর বয়সের ক্রম অনুযায়ী আগানো যাবে। কেমন? আমার দাদা মোবারক আলী এই বয়সের প্রবীণতম মানুষ। উনার বয়স ৭৯। কয়েক বছর ধরে তিনি ঘটা করে নিজের জন্মদিন পালন করছেন। উনার জন্মতারিখ কবে, এটা কিন্তু উনি জানেন না। পুরনো দিনের লোকেরা কোনো রকমে জন্মসাল মনে রাখতেন ঠিকই, কিন্তু  দিন তারিখের অত হিসাব রাখতেন না। তবে আমার দাদার কেসটা একটু ভিন্ন। উনি দাবি করেছেন, উনার শৈশবের স্মৃতি একদম স্পষ্টভাবে ফিরে আসছে। এমনকি জন্মের সময়কার স্মৃতিও উনি আশ্চর্যভাবে মনে করতে পারছেন। আমাদেরন বিজ্ঞান ক্লাসের স্যার বলেছেন, মানুষ নাকি তার শৈশবের ৩বছরের আগের স্মৃতি মনে করতে পারে না। আমার দাদা পারছেন। তাও বুড়ো বয়সে এসে। দাদার স্মৃতি অনুসারে, উনার জন্মের সময় বেশ শীত পড়েছিল। এমনকি ঘন কুয়াশাও হয়েছিল, এটাও উনার স্পষ্ট মনে আছে। শীত এবং কুয়াশা মোতাবেক উনার জন্ম ডিসেম্বরের ১২তারিখ। তখন আ...