“উনার ৩ টা কাপড় আছে আমার কাছে”
৬ মাস আগে প্যান্ট বানাতে গেলাম, দর্জি মাপ নিচ্ছে আর আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি
দেখলাম দর্জির দোকানে একটা চমৎকার স্যুট ঝুলছে
ফেব্রিক আর কাটিং দেখেই দেখেই বুঝা যায় খুব রুচিসম্মত কোন মানুষের স্যুট হবে
গতসপ্তাহেও গেলাম দর্জির দোকানে, দেখলাম এখনও সেটা ঝুলছে
আমি বললাম “এটা এতদিন থেকে এখানে কেন?’
‘যে অর্ডার দিসিলো, সে ডেলিভারি নেয় নাই’
“কতো দিন হলো?”
‘২ বছর’
“আপনারা ফোন করেন নাই?”
‘ফোন বন্ধ’
“ঠিকানা নেই?”
‘দর্জির দোকানে কেউ বাসার ঠিকানা দেয় নাকি?’
মনটা কেন জানি খুব খারাপ হয়ে গেলো
এখনও প্রায়ই যাই দর্জির দোকানে সেই সুটটা কেউ নিতে এসেছে নাকি জানতে
টেইলর মাস্টার আমার প্রতি বিরক্ত, ‘হে যদি আপনার পরিচিত হয় নিয়ে জান প্লীজ সুটটা, বেহুদা উনার ৩ টা স্যুট হেঙ্গারের জায়গা দখল করে আছে’
“উনার ৩ টা স্যুট?”
‘হ্যাঁ’
“কোন ৩ টা?”
‘পাশাপাশি ৩ টা’
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি স্যুট ৩ টার দিকে... একটা ডিপ এশ, একটা ডার্ক কফি কালারের আরেকটা নেভি ব্লূর মধ্যে ব্ল্যাক স্ট্রাইপ্স। কোনটায় টু বাটন, কোনটায় থ্রি
“আমি দর্জিকে বললাম উনার নম্বরটা দিবেন আমাকে? আমি খুঁজে বের করব”
সেই নম্বরে আমি প্রতিদিন ফোন করি, মোবাইল বন্ধ পাই
গ্রামীণফোনে এক বন্ধু চাকরি করে তাকে নম্বরটা দিয়ে বললাম ঠিকানা মেনেজ করে দে
কাঁঠাল বাগানের একটা ঠিকানা পেলাম
আমি প্রচণ্ড এক্সাইটেড ঠিকানা পেয়ে
এক সন্ধ্যায় যেয়ে উপস্থিত হলাম শরিফ সাহেবের সেই ঠিকানায়
আমি উনার ড্রয়েং রুমে বসে আছি চা হাতে
সামনে ভাবি চোখ বড়বড় করে বসে আছে
‘শরিফ রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন গতবছরের আগের বছর... জানেন সে প্রচণ্ড গুছানো মানুষ ছিল। যাবার আগে সব গুছিয়ে দিয়ে গেছে আমাদের’
মাঝপথে কথা থামিয়ে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আপনি কেন এসেছেন? উনার অফিসের কলিগ?’
“না”
‘তাহলে?’
“উনার ৩ টা কাপড় আছে আমার কাছে”
‘কি কাপড়?’
“একটা ডিপ এশ, একটা ডার্ক কফি কালারের আরেকটা নেভি ব্লূর মধ্যে ব্ল্যাক স্ট্রাইপ্স। কোনটায় টু বাটন, কোনটায় থ্রি”
দেখলাম দর্জির দোকানে একটা চমৎকার স্যুট ঝুলছে
ফেব্রিক আর কাটিং দেখেই দেখেই বুঝা যায় খুব রুচিসম্মত কোন মানুষের স্যুট হবে
গতসপ্তাহেও গেলাম দর্জির দোকানে, দেখলাম এখনও সেটা ঝুলছে
আমি বললাম “এটা এতদিন থেকে এখানে কেন?’
‘যে অর্ডার দিসিলো, সে ডেলিভারি নেয় নাই’
“কতো দিন হলো?”
‘২ বছর’
“আপনারা ফোন করেন নাই?”
‘ফোন বন্ধ’
“ঠিকানা নেই?”
‘দর্জির দোকানে কেউ বাসার ঠিকানা দেয় নাকি?’
মনটা কেন জানি খুব খারাপ হয়ে গেলো
এখনও প্রায়ই যাই দর্জির দোকানে সেই সুটটা কেউ নিতে এসেছে নাকি জানতে
টেইলর মাস্টার আমার প্রতি বিরক্ত, ‘হে যদি আপনার পরিচিত হয় নিয়ে জান প্লীজ সুটটা, বেহুদা উনার ৩ টা স্যুট হেঙ্গারের জায়গা দখল করে আছে’
“উনার ৩ টা স্যুট?”
‘হ্যাঁ’
“কোন ৩ টা?”
‘পাশাপাশি ৩ টা’
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি স্যুট ৩ টার দিকে... একটা ডিপ এশ, একটা ডার্ক কফি কালারের আরেকটা নেভি ব্লূর মধ্যে ব্ল্যাক স্ট্রাইপ্স। কোনটায় টু বাটন, কোনটায় থ্রি
“আমি দর্জিকে বললাম উনার নম্বরটা দিবেন আমাকে? আমি খুঁজে বের করব”
সেই নম্বরে আমি প্রতিদিন ফোন করি, মোবাইল বন্ধ পাই
গ্রামীণফোনে এক বন্ধু চাকরি করে তাকে নম্বরটা দিয়ে বললাম ঠিকানা মেনেজ করে দে
কাঁঠাল বাগানের একটা ঠিকানা পেলাম
আমি প্রচণ্ড এক্সাইটেড ঠিকানা পেয়ে
এক সন্ধ্যায় যেয়ে উপস্থিত হলাম শরিফ সাহেবের সেই ঠিকানায়
আমি উনার ড্রয়েং রুমে বসে আছি চা হাতে
সামনে ভাবি চোখ বড়বড় করে বসে আছে
‘শরিফ রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন গতবছরের আগের বছর... জানেন সে প্রচণ্ড গুছানো মানুষ ছিল। যাবার আগে সব গুছিয়ে দিয়ে গেছে আমাদের’
মাঝপথে কথা থামিয়ে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আপনি কেন এসেছেন? উনার অফিসের কলিগ?’
“না”
‘তাহলে?’
“উনার ৩ টা কাপড় আছে আমার কাছে”
‘কি কাপড়?’
“একটা ডিপ এশ, একটা ডার্ক কফি কালারের আরেকটা নেভি ব্লূর মধ্যে ব্ল্যাক স্ট্রাইপ্স। কোনটায় টু বাটন, কোনটায় থ্রি”
Comments
Post a Comment