Posts

Showing posts from 2019

আমার কি-বোর্ডের, ব্যাকস্পেস !

বসন্তের রঙ কি বলোতো? তুমি হয়তোবা বলবে, কৃষ্ণচূড়ার মতো টকটকে লাল অথবা অসম্ভব হিমুর মতো চন্দ্রপ্রভা ।  তুমি হেমন্তের বাতাসে একা একা ভেসে যাই খন্ডায়িত লোকালয়ের উপর দিয়ে। হঠাৎ দেখলে বিস্তৃত মাঠে এক ঝাঁক সবুজের সমারোহে ডোরাকাটা হলুদের দাগ অথবা লালের দাগ। অজস্র ফুল চারিদিকে ফুটিয়ে রয়েছে, বাতাসের দোলায় যেন তারা সবুজের মাঝে মাথা হেলিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।  হলুদ ফুলের রূপে অথবা লাল ফুলের রূপে বিমুগ্ধ আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে দেখলে,  তুমি এক হলুদ অথবা লাল ফুলের সুরভিতে মগ্ন। একটি ফুলের সৌন্দর্য তোমার অন্তরাত্মায় অপার্থিব ভাবনার সৃষ্টি করে।  তুমি ডুবে যাই অনাস্বাদিত এক অনাবিল আনন্দে একটি হলুদ অথবা লাল ফুলের সুন্দরতায়।  আমার মতে বসন্তের কোনো রঙ নেই। রঙ আছে শুধু তোমার মধ্যে।  এই জন্য আমার প্রিয় রঙ তুমি। তোমার সাথে তোলা প্রতিটি ছবি তার মূখ্য প্রমাণ।  আরো অনেক অনেক কথা বলার ছিল, তোমার সাথে আমি যে কতোশত কথা বলি তা শুধু আমার কি-বোর্ডের, ব্যাকস্পেস বাটন জানে।

অকূল দরিয়ায় অসহায় ৪ যুবকস!

আমি, ফাহিম এবং ফুয়াদ- এই তিন যুবকের একই ধরণের দুঃখ। আমাদের গোটা জীবন ব্যর্থ । আমরা কিছুই হতে পারিনি, কিছু হতে পারবোও না। আমাদের অর্থ নেই, বিত্ত নেই, যশ নেই, খ্যাতি নেই, কষ্টের সময় মাথা রাখার মতো কোনো কোমল বুক নেই, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংক - কিছুই নেই। শুধু একরাশ হতাশা। এই দুঃখে আমরা ঠিক করলাম, ঘর, সংসার ছেড়ে সন্ন্যাসী হবো। দুচোখ যেদিকে যায়, সেদিকেই চলে যাবো, আর ফিরবো। ''তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না, কোলাহল করে সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।'' এই মানসে এক কাপড়ে তিনজন ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটা দিলাম। বেশিদূর আগানো হলো না, কারওয়ান বাজারের মোড়ে এসে হাপিয়ে পড়লাম। সেই সময় আমাদের শিল্পপতি বন্ধু রাকিব তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। বললেন, ঢাকা ছেড়ে দূরে কোথাও আপনাদের ছেড়ে দিয়ে আসি, তারপর যেখানে খুশি যাইয়েন। আসেন, গাড়িতে উঠেন। সরল বিশ্বাসে গাড়িতে উঠলাম। গাবতলিতে এসে সিমু বলল, প্রত্যেকে ২০০০ টাকা করে দ্যান, ত্যাল কিনতে হবে। দিলাম। সাভারে এসে সিমু জনপ্রতি আরও ১০০০ টাকা নিলো, গাড়ির চাকা রিপেয়ার করার কথা বলে। সেটিও দিলাম। পথে খাবারের কথা বলে আরও ৫০০ টাক...

বিচিত্র স্বপ্ন

কয়েক দিন আগে আমি একটা বিচিত্র স্বপ্ন দেখলাম। স্বপ্নটা কেবল বিচিত্র নয় , খানিকটা হৃদয় বিদারকও। স্বপ্নটার কথা বলি। চারিদিকে ভীষণ বরফ পড়েছে। রোদেলা আমাকে বরফের নিচে চাপা দিয়েছে। আমার পুরো শরীর বাইরে আর মাথা বরফের নিচে। রোদেলা আরও চাপ চাপ বরফ দিয়ে আমাকে ঠেসে ধরছে। রোদেলার পাশে আরেকটি নারী দাঁড়ানো। সঙ্গত কারণে তার পরিচয় দিলাম না। তিনি রোদেলাকে বলছে , রোদেলা, তোমার আরও বরফ লাগবে ? ফ্রিজ থেকে এনে দেবো ? চারিদিকে এত বরফ থাকার পরও - কেন ফ্রিজ থেকে আরও বরফ এনে আমাকে চাপা দিতে হবে , এই কষ্টে আমি ঘুমের মধ্যেই কেঁদে ফেলি। ফলত : স্বপ্নের এই পর্যায়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙার পর দেখি , রোদেলাকে ছবি আমার ফোনে জ্বলজ্বল করছে । আমার বাসার রাস্তা ঘাটের মতো এর জোছনাও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেই জ্যোছনার খানিকটা অংশ এসে পড়েছে রোদেলার মুখের উপর। তাকে লাগছে অপ্সরীর মতো। দেখে মোটেও মনে হচ্ছে না , একটু আগে সে এই ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়েছে। পরদিন ডাক্তারের সাথে রেগুলার এপয়েন্টমেন্ট ...