Posts

"The Salty Coffee"

He met her at a party. She was so outstanding, many guys chasing after her, while he was so normal, nobody paid attention to him. At the end of the party, he invited her to have coffee with him, she was surprised but due to being polite, she promised. They sat in a nice coffee shop, he was too nervous to say anything, she felt uncomfortable, and she thought to herself, "Please, let me go home..." Suddenly he asked the waiter, "Would you please give me some salt? I'd like to put it in my coffee." Everybody stared at him, so strange! His face turned red but still, he put the salt in his coffee and drank it. She asked him curiously, "Why you have this hobby?" He replied, "When I was a little boy, I lived near the sea, I liked playing in the sea, I could feel the taste of the sea, just like the taste of the salty coffee. Now every time I have the salty coffee, I always think of my childhood, think of my hometown, I miss my hometown so much, I miss my ...

“ইন্ডিয়া বিদেশ!”- তাহীম ত্বহা।

ফাইয়াজ আমাকে বলল, একটা জিনিস খেয়াল করে দেখছিস মামা? জীবনটা কেমন যেন পানসে হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম, এই কথা শোনার আগ পর্যন্ত আমার জীবন যথেষ্ট ''রঙিলাই'' ছিল। কিন্তু ফাইয়াজের মতো জ্ঞানী মানুষ না জেনে কিছু বলে না। সে যখন বলেছে, জীবন পানসে , তার মানে জীবনে অবশ্যই কোনো না কোনো গলদ আছে।ওর কথা শুনে, আমি জীবন নিয়ে পুরো দুই মিনিট ভাবলাম। এবং ঠিক তিন মিনিটের মাথায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, জীবন আসলেই পানি পানি। ভাগ্যিস ফাইয়াজ ধরিয়ে দিয়েছিলো। নইলে মরার আগ পর্যন্ত, আমি ব্যাপারটা ধরতেই পারতাম না। আবেগ আর টিয়ার গ্যাসের মধ্যে কিছুটা মিল আছে। এর পরিমাণ বেশি হলে, আমার চোখে পানি চলে আসে। হিচকা দিয়ে কান্না পায়। আমি কাঁদতে কাঁদতে ফাইয়াজকে জড়িয়ে ধরলাম। ফাইয়াজ সাহেব অত্যন্ত বিরক্ত হলেন। জ্ঞানী মানুষেরা অতি অল্পে বিরক্ত হোন। এটা তাদের সৌন্দর্য। তবু কোনো রকমে বিরক্তি চেপে তিনি বললেন, এইসব ঢং বাদ দে তো। একটা আইডিয়া বের কর, কী করা যায়। একটা ব্রেক দরকার। ছোটখাটো ব্রেক না। হার্ড ব্রেক। আমি পুরা একমাস ভাবলাম। কীভাবে জীবনে ''হার্ড ব্রেক'' আনা যায়। একদিন মাঝরাত্রে ফাইয়াজকে ফোন দিয়ে বল...

"মিম আর আলিফের গল্প।"

মিমকে প্রথমবার দেখে আলিফের মটেও পছন্দ হয়নি। মনে হয়েছিল একোন ক্ষ্যাত চলে এসেছে। আলিফের সাথে যারা প্রথমবার দেখা করতে আসে তারা একটা জিনিস সবসময় খেয়াল রাখে, তা হলো তাদের লুকস। কিন্তু মিম না দেখতে ভালো না, না তার লুকস ভালো। কথোপকথনের একটা পর্যায় আলিফ আবিস্কার করে মিম এর চোখটা কেমন যেনো ছলছল করছে। মিম কিছু একটা খুঁজছে, কাউকে খুঁজছে। আলিফের আগ্রহ হলেও তেমন একটা পাত্তা দিলো না।  আড্ডা শেষে যখন সবাই বাসার দিক যাচ্ছে তখন মিমের কিছু কথা শুনে আলিফ অবাক হলে মিমকে পছন্দ করা শুরু করল। এতো সস্ছলতার সাথে, এতো সততার সাথে আজ পর্যন্ত কাউকে সে কথা বলতে শোনেনি।  অপার ভালোলাগার এক দমকা হাওয়া আলিফের হৃদয়কে চিড়ে দিয়ে গেলো। মিমকে ছেড়ে আসাটাই আলিফের জন্য যাবৎ জীবন কারাদন্ড লাগছিল। মিমের অটো থেকে নেমে আলিফ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো রাস্তায়। বাসা থেকে বারংবার কল আসছে, মিমের বলা সেই কথাগুলো আলিফের  কানে তালা লাগিয়ে দেয়। ফোনের রিং, রিক্সার বেল, গাড়ির হর্ণ, অটো মাহিন্ডোওলার ডাক কিছুই না।  কিছুক্ষন পর হুশ আসলে নিজেকে গুছিয়ে বাসায় চলে আসি, স্যারদের কাছে পড়ার ভারটা চুকিয়ে ঘরের আলোটা ধিমে করে ভাবা শুরু করল...

“নানার গাড়ি”

ছোটবেলায় রেলগাড়িকে বলতাম, নানার গাড়ি। এর একমাত্র কারণ, আমার নানা রেলওয়েতে চাকরি করতেন। তার পোস্টিং ছিল চিটাগাংয়ে। তিনি মাঝে মাঝে আমাদের ফ্রি টিকেট পাঠাতেন। বিনা পয়সায় যাহা কিছু পাওয়া যায়, তাহার কোনো মূল্য থাকে না। কাজেই সে টিকেট অধিকাংশ সময় ঘরেই পরে থাকতো। একবার কি মনে করে সবাই মিলে চিটাগাং গেলাম। অতি শৈশবের সেই চাটগাইয়া স্মৃতির তেমন কিছুই মনে নেই। শুধু মনে আছে ঘরের পাশে একটা জানালা। জানালার পাশে পুকুর। সেই পুকুরে কোনো পানি নেই, কেবল সবুজ কচুরিপনা। এক সময় চোখ বন্ধ করলে সেই সবুজ কচুরিপানাগুলো স্পষ্ট দেখতে পেতাম। ইদানীং বয়সের কারণে সেগুলো আর দেখি না। শেষ বয়সে এসে নানার মনে হলো, আর তিনি চিটাগাংয়ে থাকবেন না। খুলনা ফিরে আসবেন। জীবনের শেষ কটা দিন পরিবারের সাথেই কাটাবেন। মাগরিবের নামাজে বসে আল্লাহর কাছে সেই সুযোগ চাইলেন। তার দোয়ার জোর ছিল, একথা বলতেই হবে। কেননা নামাজ শেষে উঠে দাঁড়ানো মাত্র তিনি ঠাস করে পড়ে গেলেন। তার সিভিয়ার স্ট্রোক হয়েছে। তাকে ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। ঢাকা মেডিকেলে । প্রথম কিছুদিন তার কোনো জ্ঞান ছিল না। একদিন ডাক্তাররা সবিস্ময়ে দেখলেন, তার জ্ঞান ফিরেছে।...

আমার কি-বোর্ডের, ব্যাকস্পেস !

বসন্তের রঙ কি বলোতো? তুমি হয়তোবা বলবে, কৃষ্ণচূড়ার মতো টকটকে লাল অথবা অসম্ভব হিমুর মতো চন্দ্রপ্রভা ।  তুমি হেমন্তের বাতাসে একা একা ভেসে যাই খন্ডায়িত লোকালয়ের উপর দিয়ে। হঠাৎ দেখলে বিস্তৃত মাঠে এক ঝাঁক সবুজের সমারোহে ডোরাকাটা হলুদের দাগ অথবা লালের দাগ। অজস্র ফুল চারিদিকে ফুটিয়ে রয়েছে, বাতাসের দোলায় যেন তারা সবুজের মাঝে মাথা হেলিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।  হলুদ ফুলের রূপে অথবা লাল ফুলের রূপে বিমুগ্ধ আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে দেখলে,  তুমি এক হলুদ অথবা লাল ফুলের সুরভিতে মগ্ন। একটি ফুলের সৌন্দর্য তোমার অন্তরাত্মায় অপার্থিব ভাবনার সৃষ্টি করে।  তুমি ডুবে যাই অনাস্বাদিত এক অনাবিল আনন্দে একটি হলুদ অথবা লাল ফুলের সুন্দরতায়।  আমার মতে বসন্তের কোনো রঙ নেই। রঙ আছে শুধু তোমার মধ্যে।  এই জন্য আমার প্রিয় রঙ তুমি। তোমার সাথে তোলা প্রতিটি ছবি তার মূখ্য প্রমাণ।  আরো অনেক অনেক কথা বলার ছিল, তোমার সাথে আমি যে কতোশত কথা বলি তা শুধু আমার কি-বোর্ডের, ব্যাকস্পেস বাটন জানে।

অকূল দরিয়ায় অসহায় ৪ যুবকস!

আমি, ফাহিম এবং ফুয়াদ- এই তিন যুবকের একই ধরণের দুঃখ। আমাদের গোটা জীবন ব্যর্থ । আমরা কিছুই হতে পারিনি, কিছু হতে পারবোও না। আমাদের অর্থ নেই, বিত্ত নেই, যশ নেই, খ্যাতি নেই, কষ্টের সময় মাথা রাখার মতো কোনো কোমল বুক নেই, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংক - কিছুই নেই। শুধু একরাশ হতাশা। এই দুঃখে আমরা ঠিক করলাম, ঘর, সংসার ছেড়ে সন্ন্যাসী হবো। দুচোখ যেদিকে যায়, সেদিকেই চলে যাবো, আর ফিরবো। ''তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না, কোলাহল করে সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।'' এই মানসে এক কাপড়ে তিনজন ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটা দিলাম। বেশিদূর আগানো হলো না, কারওয়ান বাজারের মোড়ে এসে হাপিয়ে পড়লাম। সেই সময় আমাদের শিল্পপতি বন্ধু রাকিব তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। বললেন, ঢাকা ছেড়ে দূরে কোথাও আপনাদের ছেড়ে দিয়ে আসি, তারপর যেখানে খুশি যাইয়েন। আসেন, গাড়িতে উঠেন। সরল বিশ্বাসে গাড়িতে উঠলাম। গাবতলিতে এসে সিমু বলল, প্রত্যেকে ২০০০ টাকা করে দ্যান, ত্যাল কিনতে হবে। দিলাম। সাভারে এসে সিমু জনপ্রতি আরও ১০০০ টাকা নিলো, গাড়ির চাকা রিপেয়ার করার কথা বলে। সেটিও দিলাম। পথে খাবারের কথা বলে আরও ৫০০ টাক...

বিচিত্র স্বপ্ন

কয়েক দিন আগে আমি একটা বিচিত্র স্বপ্ন দেখলাম। স্বপ্নটা কেবল বিচিত্র নয় , খানিকটা হৃদয় বিদারকও। স্বপ্নটার কথা বলি। চারিদিকে ভীষণ বরফ পড়েছে। রোদেলা আমাকে বরফের নিচে চাপা দিয়েছে। আমার পুরো শরীর বাইরে আর মাথা বরফের নিচে। রোদেলা আরও চাপ চাপ বরফ দিয়ে আমাকে ঠেসে ধরছে। রোদেলার পাশে আরেকটি নারী দাঁড়ানো। সঙ্গত কারণে তার পরিচয় দিলাম না। তিনি রোদেলাকে বলছে , রোদেলা, তোমার আরও বরফ লাগবে ? ফ্রিজ থেকে এনে দেবো ? চারিদিকে এত বরফ থাকার পরও - কেন ফ্রিজ থেকে আরও বরফ এনে আমাকে চাপা দিতে হবে , এই কষ্টে আমি ঘুমের মধ্যেই কেঁদে ফেলি। ফলত : স্বপ্নের এই পর্যায়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙার পর দেখি , রোদেলাকে ছবি আমার ফোনে জ্বলজ্বল করছে । আমার বাসার রাস্তা ঘাটের মতো এর জোছনাও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেই জ্যোছনার খানিকটা অংশ এসে পড়েছে রোদেলার মুখের উপর। তাকে লাগছে অপ্সরীর মতো। দেখে মোটেও মনে হচ্ছে না , একটু আগে সে এই ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়েছে। পরদিন ডাক্তারের সাথে রেগুলার এপয়েন্টমেন্ট ...