ভালবাসার কেউ একজন

তুমি আমার "কেউ একজন" আর আমি তোমার ।
তুমি রবী ঠাকুরের সেই নিরুপমা,
তুমি কবি নজরুলের সেই চন্দ্রমা,
হয়তো বা হুমায়েন স্যারের কল্পনা,
অথবা ন. মিত্র সাহেবের অনামিকা।
আমি সঠিক করে বলতে পারবো না।
কিন্তু আমি একটা কথা নিষসন্ধেহে বলতে পারবো তুমি অনন্যা। কেউ তোমার মত না।
"তুমি সুন্দর্যের সুন্দর্য,
   তুমি অপূর্বতার অপূর্ব।
তুমি কারো চোখের স্নিগ্ধতা,
    তুমি কারো মনের পূর্ণতা।
তুমি আমার মনের সম্পূর্ণতা,
   তুমি আমার মনের সেই অপূর্ণ অংশটা।"
তুমি আমার কেউ না বলেই,
তোমাকে দেখার পর থেকে আমার যে বুক  আর কম্পিত হয় না। কম্পন ছেড়ে সে কথা বলা শুরু করেছে। আমার বুকটি  শুধু এতোটুকুই বলে তুমি যে আমার শুধুই আমার।
তোমাকে দেখার পর আমার চোখ বলেছে সুন্দরীতো তোমার থেকেও অনেক দেখেছি কিন্তু কারো মধ্যে তোমার মতো অমাহিক সন্দর্যের আর কাউকে দেখিনী।
কমল ও সামান্য রুক্ষ্য তোমার হাততো আমি স্পর্স করিনি। কিন্তু ঐ হাত ধরতে চাই। চাই, ঐ হাতটা এতো কমলতার সাথে ধরতে যেমনটা করে কেউ এই মাত্র জন্মকৃত নবশিশুর হাতটা ধরে। আর সাথে সাথে এতো শক্ত করে ধরতে চাই যেন ঐহাতটা আমার থেকে কখনই ছুটে না যায়।
আজ পর্যন্ত আমার আম্মুকে যে কারোরই  ছবি দেখিয়েছি না কেনো আম্মু কোনো না কোনো খুদ বের করবেই। শুধু খুদ বের করেই খ্যান্ত হতো না সাথে থাকতো তার ১০০০০ বাক্যের সতর্কতা মূলক রচনা। সাথে আরো থাকতো তার "আমার সব শেষ হয়ে গেল" ছায়াছবির সেই প্রাচীন ডায়ালগ। কিন্তু তোমাকে দেখার পর আমার মা খুব আশ্চর্য ভাবে  একটা কথায় বললো "বাবা মন দিয়ে পড়া-লেখাটা কর আমি তোকে বাক্য দিচ্ছি এই মেয়েকে আমার (তার) পুত্রবধু করে আনবেন"।
হাজার হাজার কথা বলে আমি তোমায় হ্যেলাবো না। শুধু এতো টুকুই বলবো 'ী' দেওয়া হয় কোনো কথায় জোর দেওয়ার জন্য।
তাই আমি বলবো "আমি তোমায় ভালোবাসী"
তুমি আমার "কেউ একজন"   না হয়ে হয়ো আমার মায়ের এক মাত্র পুত্রের একমাত্র ভালোবাসানী বৌ। আর আমি বরং তোমার  বর'না না হয়ে হবো তোমার বরন করা বর।
সুন্দর হৃদিরঞ্জন তুমি নন্দনফুল,
তুমি অনন্ত নববসন্ত অন্তরে আমার।