পর্ব: ১৬
রিয়াজ: তুই কি আসলেই মাতাল টারে খুন করবি?
ফিদা: তোর কোন সন্দেহ আছে? থাকলে বল
রিয়াজ: আরে নাহ, কিসের সন্দেহ?
সৌমিন: আমার সন্দেহ আছে
রিয়াজ: তুই চুপ করতো, বন্ধু একটা খুন করবে সেটা নিয়েও তোর সন্দেহ?
সৌমিন: না মানে আগে তো ওরে কোনদিন খুন করতে দেখিনি তো
ফিদা: দেয়ার ইজ অলওয়েজ ফার্স্ট টাইম, গরু
সৌমিন: হু, যেমন পুলিশের থাপ্পর, হি হি হি
ফিদা: আর জুয়েল ভাই যে কাটা রাইফেলের বাট দিয়া বারি দিয়ে তোর টু ইন ওয়ান করে দিছিল..
রিয়াজ: তোরা থামবি? সারাক্ষন ঝগরা আর ঝগরা..হাটার স্পিড বাড়া..
একঘন্টা ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, ছুরি বটির দোকান খুজে পাচ্ছি না..কাজের সময় কিছুই পাওয়া যায় না..এমনিতে দশ হাত দুরে দুরে ছুরি বটির দোকান দেখি, অথচ এখন একটাও দেখছি না..আশ্চর্য!!
খানিক পরেই দেখলাম ফিদা এক বৃদ্ধের পথ আগলে দাড়িয়েছে,
-চাচা এখানে ছুড়ি কোথায় পাওয়া যাবে?
-ক্যায়া? ছোড়ি?
-হু হু, ছুড়ি ছোড়ি যাই বলেন..কই পাবো?
-বেটা, ছোড়ি দিয়ে কি করিবা?
-ছোড়ি দিয়া কি করে জানেন না?
-তুমি বোলো (বৃদ্ধের গলায় ঝাজ)
-সাথে নিয়া ঘুরবো, নাইরা চাইরা দেখব আর ধার দিয়া চুমা দিব
ঠাশ করে এক শব্দ হল, চমকে গেলাম..দেখলাম ফিদা ডান গালে হাত দিয়ে চোখ বড় বড় করে বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে..আর বৃদ্ধ "নালায়েক, বেত্তমিজ, ঘরে মা বেটি নাই এদের" আরো কি সব বলতে বলতে গট গট করে হাটা দিল..
এর চেয়ে খারাপ ভাবে আর দিন শুরু হতে পারে না..ফিদার কি দোষ? ও তো রাগের মাথায় "ছুরি আর ছোড়ির" পার্থক্য বোঝে নাই..ফিদার দিকে তাকানো যাচ্ছে না..বেচারা মুখ হা করে হাত দিয়ে চোয়াল ঠিক করছে..আহারে, চোয়ালের উপর দিয়ে একটার পর একটা ঝড় যাচ্ছে..
ফিদা: চল, ঢাকা চলে যাই, আজকেই, এই শহর আর ভাল লাগছে নারে..
সৌমিন: চল, এর পর থাপ্পর খেলে ফিদার চোয়াল লক হয়ে পার্মানেন্টলি হা হয়ে যাবে, হি হি হি
রিয়াজ: কিন্তু খুন করার ব্যাপারটা কিন্তু ভুলে যাচ্ছি সবাই
ফিদা: না রে, খুনের প্রোগ্রাম বাদ
রিয়াজ: কিন্তু কেন?
ফিদা: কারন প্রেমিক পুরুষ কখনো খুন করতে পারে না, প্রেমিক পুরুষ শুধু খুন হয়ে যায়
সৌমিন: মানে কি?
ফিদা: ওই দেখ সামনে, বাম দিকের মেয়েটা কেমন চোখের চাহনিতে খুন করে দিল আমাকে
রিয়াজ: এই, তুই কই যাস? ঢাকা যাবি না?
ফিদা: নারেএএ, এই শহর ছেড়ে আমি আর কোথাও যাচ্ছি নাআআআ.
বলতে বলতে ফিদা মেয়েদুটোর পেছন পেছন হাটা দিল..
Comments
Post a Comment