পর্ব: ০৪

শাহবাগ থেকে ঠেলাঠেলি করে গাবতলির মিনি বাসে উঠে পড়লাম..বাস বাংলামটর যাবার পর টের পেলাম সৌমিন উঠতে পারে নাই.. 
বাসের হেল্পারের "ওস্তাদ তেলের ড্রাম, টানেন" এর মর্মার্থ এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি..বদমাইশটা আমার বন্ধুরে তেলের ড্রাম বলছে.. 
সৌমিনের কথাই ঠিক, এর শহর মোটা মানুষের জন্য না..সামান্য রিসপেক্ট যদি কেউ দেখাইত..বাস ড্রাইভাররা তো মোটা মানুষ দেখলে বাসে উঠাতেই চায় না.. 
আসাদ গেট স্টপেজে থামতেই ফিদা হাত ধরে আমাকে টানতে টানতে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে আসলো..তারপর কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ না দিয়ে হন হন করে একটা মেয়ের পেছন পেছন হাটতে লাগল.. 
-কিরে, কি শুরু করলি? 
-মেয়েটারে বাসায় আগায় দিয়ে আসি 
-আগায় দিয়ে আসি মানে? তুই কি চিনিস মেয়েটারে? 
-শোন, কারো উপকার করার জন্য চেনা লাগে না..এই রাত বিরাতে একটা সুন্দরী মেয়ে একা একা হাটছে, কখন কি বিপদ হয়, দেশের সভ্য নাগরিক হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে না? 
-হুম তা তো আছেই 
-খালি নিজের চিন্তা করলে হবে? বল.. 
মেয়েটা বেশ অনেকক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছে চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে..আমি আর ফিদাও একটু দুরে দাড়িয়ে..একটা গাড়ি এসে দাড়ালো মেয়েটার পাশে..মিনিট খানেক পর মেয়েটা গাড়িতে উঠে চলে গেল.. 
সোডিয়াম বাতির ম্যাটম্যাটে আলোয় ফিদার মুখ দেখে মনে হল গাড়িটা যেন ওর মুখের উপর দিয়ে চলে গেল.. 
আমরা উল্টোদিকে হাটা শুরু করলাম.. সৌমিনটা এতক্ষনে নিশ্চই গাবতলি গিয়ে বসে আছে.. 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখ করো না, বাঁচো !

এক টুকরো আকাশ !