পর্ব: ০৯

শক্ত একটা ঝাকি খেয়ে থেমে গেল ট্রাকটা..ধরমর করে ঝিমুনি থেকে উঠে দাড়ালাম..ড্রাইভার সাহেব দরজা খুলে লাফিয়ে নামতে গিয়ে লাট্টুর মত দুইটা পাক দিয়ে অন্ধকার রাস্তার উপর পড়ে গেল..হায় হায় করে ওস্তাদ কে তুলতে গেল হেল্পার..পেটমোটা ওস্তাদকে তোলা কি এতই সোজা? কি আর করা, ট্রাক থেকে নেমে পড়লাম আমরাও.. 
ড্রাইভার: কিছু টের পাইছেন আপ্নেরা? 
ফিদা: হু, আপনার অনেক ওজন, সেইটা টের পাইছি 
সৌমিন: আর ঠান্ডা টের পাচ্ছি অনেকক্ষন ধরেই 
ড্রাইভার: কিছুই টের পান নাই? 
ফিদা: আরে কি টের পাব? 
ড্রাইভার: ট্রাকটা যে ভারী হইয়া গেছে হেইডা টের পান নাই? 
সৌমিন: আমরা কি ওয়েট মেশিন নিয়ে আসছি? 
ড্রাইভার: কিছু তো গরবর আছে, অবশ্যই আছে, নাইলে গাড়ী একবার ডাইনে আরেকবার বামে চাপ দেয় ক্যা? 
আমি আর ধৈর্য ধরে রাখতে না পেরে খেকিয়ে উঠে জিজ্ঞেস করলাম, 
-কিসের গরবরের কথা বলেন? 
ড্রাইভার আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গালি দিয়ে তার হেল্পারকে পাঠালো ট্রাকের উপর, তারপর নিজেও উঠলো..উঠেই চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে নিচে নেমে আরেক বার পল্টি খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেল..ওস্তাদের দেখা দেখি হেল্পারও লাফ দিয়ে নিচে নেমে এল.. 
রাস্তায় বসে বসেই ড্রাইভার বিড়বিড় করতে লাগল, 
-আমি আগেই বুঝছি, লাশের মইদ্যে গরবর আছে, বিরাট গরবর 
তিনজন একসংগে চিল্লানি দিলাম, 
-লাআআআশ!!! কই? কই লাশ? 
-সারা রাইত ধইরা লাশের লগে শুইয়া বইয়া আইলেন, আর অহন জিগান কই লাশ? 
সৌমিন রাস্তার উপরেই দাত কপাটি লাগিয়ে বসে পড়ল..গাধাটার মৃগী হওয়ার আর সময় পেল না.. 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখ করো না, বাঁচো !

এক টুকরো আকাশ !