পর্ব: ০৩

প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেল রোকেয়া হলের গেটে দাড়িয়ে আছি..নীলার দেখা নাই..মোবাইলেও টাকা নাই..ইমার্জেন্সী ব্যালেন্সও শেষ করে ফেলেছি সকালে..এই পর্যন্ত ১১ টা মিস কল দিয়েছি..নীলা কলব্যাকও করল না, আসলোও না..নিজেকে ব্যাক্কলের মত লাগছে.. 
হাতের ধরা ফুলের তোড়াটা না থাকলে তাও হতো..গাধা দুইটা কোত্থেকে যে এই মরা ফুলের তোড়া নিয়ে আসছে আল্লাহই জানে..তবে ওরা যাই বলুক, আমি নীলার কাছে টাকা ধার চাইতে পারব না..ব্যাস, ফাইনাল..ওর হাতে ফুলের তোড়াটা দিব আর বাই বলে চলে যাব.. নো টাকা ধার চাওয়া চাওয়ি..দরকার হলে হেটে হেটে নিরুদ্দেশ হব.. 
তারপর এলো নীলার ফোন, 
-হ্যালো 
-হ্যালো নীলা হ্যালো 
-কি ব্যাপার রিয়াজ ভাই, বার বার মিস কল দিচ্ছেন কেন? 
-না, মানে এমনি.. 
-এমনি মানে? ফাইজলামি করেন? 
-কি বলছ এইসব? 
-আচ্ছা বলেন, কি দরকারে ফোন দিয়েছেন? 
-শোন আমি ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি 
-চলে যাচ্ছি মানে? কোথায় যাবেন? 
-নিরুদ্দেশ হয়ে যাব, মনে হয় না আর ফিরে আসব.. 
-গুড ডিসিশান, এইটা আপনার আরো আগেই করা উচিত ছিল.. 
-মানে? 
-আচ্ছা আপনার সাথে আপনার গাধা বন্ধু দুইটাও যাচ্ছে তো? 
-হু যাচ্ছে 
-গুড, বাই বাই 
-আরে না না শোন 
-কত লাগবে? 
-২০০০ 
-এত দিতে পারব না, গেটে গার্ড রহিম ভাই আছে, আমি বলে দিচ্ছি, ৫০০ টাকা দিয়ে দিবে 
-আর কিছু কি বাড়িয়ে...হ্যালো হ্যালো হ্যালো 
রহিম ভাইকে ফুলের তোড়াটা দিয়ে ৫০০ টাকার নোটটা পকেটে ভরতে ভরতে রাজু ভাস্কর্যের দিকে হাটা দিলাম.. 
বুকটা ভারী ভারী লাগছে..আমার আসলে আরো আগেই নিরুদ্দেশ হওয়া উচিত ছিল.. 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখ করো না, বাঁচো !

এক টুকরো আকাশ !