পর্ব: ০৫

হন্তদন্ত হয়ে সৌমিন বেরিয়ে এলো অন্ধকার থেকে..পেছনে ষন্ডা টাইপের দুইটা লোক..সৌমিন উত্তেজিত কন্ঠে বলল, 
-৫০ টা টাকা দে তো 
-কি করবি? 
-দিতে বলছি দে 
পকেট থেকে ৫০ টাকা দিতেই সৌমিন ষন্ডা একটার হাতে দিয়ে দিল..লোকটা একটা ইতর মার্কা হাসি দিয়ে বলল, "আবার আইসেন চিপায়".. 
এই কথার মর্মার্থ কিছুই বুঝলাম না..চেপে ধরলাম সৌমিনকে..শেষে জানাল আসল কাহিনী.. 
টয়লেটে না গিয়ে ভেতরে দাড়িয়ে দেয়ালের গায়ে প্রশাব করার সময় লোকগুলো সৌমিনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে..পরে টর্চ মেরে ওকে দেয়ালের লেখাটা দেখিয়ে দিল 
"এখানে প্রশাব করা নিষেধ, ধরা পরিলে ৫০ টাকা জরিমানা" 
আমি: তা, কই যাচ্ছি আমরা? 
ফিদা: দু চোখ যেদিকে যায় 
সৌমিন: তোর চোখ তো এখন ওই মেয়েটার দিকে 
ফিদা: দোস্ত, তুই অন্তত মেয়েটার দিকে তাকাইস না, তুই তাকালেই জরিমানা খাবি 
সৌমিন: জরিমানা দেই, কিন্তু তোর মত লুইচ্চামি তো করি না 
আমি: থামবি তোরা? 
দুইজন দুই দিকে মুখ করে বসে রইল.. 
আমি: চল টস করি, কয়েন দে 
সৌমিন: জেলা তো ৬৪ টা, এত কয়েন কই পাবো? 
ফিদা: আরে গাধা, একটা কয়েন হলেই হবে, হেড হলে উত্তর দিকে আর টেইল হলে দক্ষিন দিকে.. 
সৌমিন: আর পুর্ব পশ্চিম? 
ফিদা: রিয়াজ, তুই ওরে চুপ থাকতে বলবি? 
ফিদা পকেট থেকে একটা কয়েন বের করে উপরের দিকে ছুড়ে দিল..তারপর কয়েনটা নিচে নেমে ফিদার হাত ছুয়ে রাস্তায়..তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে লোহার খাচার ফাক গলে সোজা ড্রেনে.. 
এই আকালের দিনে আরো ৫ টাকা গেল.. 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখ করো না, বাঁচো !

এক টুকরো আকাশ !